সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন

পাওনা টাকা চাওয়ায় গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ, চিকিৎসা নিতেও বাঁধা প্রদানের অভিযোগ

এস এম সাঈদুর রহমান সোহেল, খলনা ব্যুরো::

নড়াইলে তানিয়া জামান (২৫) নামে এক গৃহবধূকে এসিডে ঝলসে দিয়েও ক্ষান্ত হয়নি দুর্বৃত্তরা। এমনকি তারা ওই গৃহবধূকে চিকিৎসা নিতেও বাঁধা প্রদান করছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আসামিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন অসহায় গৃহবধূর পরিবার।

মিনি বেগম আরও অভিযোগ করেন, আসামী মোঃ বিপ্লব মোল্যা, হৃদয় মোল্যা, অহিদুল মোল্যা, জুয়েল মোল্যাদের সঙ্গে তাদের সাড়ে ১৫ লাখ টাকার একটি মামলা নড়াইল আদালতে চলমান রয়েছে। এই কারণে আসামীরা তার বোনকে এসিডে ঝলসে দিয়েছে। তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

নড়াইল জেলা সদরের বাহিরগ্রামের আমিনুর রহমানের স্ত্রী মিনি বেগম নড়াইল সদর থানায় করা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার ছোট বোন তানিয়া জামান গত ১৭ আগস্ট তাদের বাড়িতে এসে বৃদ্ধ মায়ের খোঁজ খবর নিয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পার্শ্ববর্তী চাচাতো ভাই জিন্না মোল্লার বাড়িতে রওনা করে। পথিমধ্যে জিন্না মোল্লার বাড়ীর সামনে পৌঁছালে স্থানীয় বাহিরগ্রামের মৃত মুজিবর মোল্যার পুত্র অহিদুল মোল্যা (৫০) আইয়ুব মোল্যার পুত্র মোঃ জুলহাস মোল্যা, (৩৫), মৃত বদিয়ার মোল্যার পুত্র বিপ্লব মোল্যা (৩৫), মুজাহার (সরু) মোল্যার পুত্র তুহিন মোল্যা (৩২), মৃত মোস্ত মোল্যার পুত্র জুয়েল মোল্যা (২৮), আব্দুল কুদ্দুস মোল্যার পুত্র হৃদয় মোল্যা (২২) ও ছবি মোল্যার পুত্র টিটো মোল্যা (৩৩)কে স্থানীয় ওদুদ মোল্যার কবরস্থানের পাশে ফাকা জায়গায় বসে মিটিং করতে দেখে। এদেরকে অতিক্রম করে জিন্না মোল্যার বাড়ীর গেটের সামনে পৌছানো মাত্র আমার ছোট বোন তানিয়া জামান আমার থেকে একটু পিছনে থাকায় আসামী অহিদুল মোল্যার হুকুমে আসামী জুলহাস ও বিপ্লব তাদের হাতে থাকা এসিডের বোতলের মুখ খুলিয়া অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় তার ডান ও বাম কাধের উপরে ঢেলে দেয়। এসিড নিক্ষেপের ফলে আমার বোনের পিট, কাধ ও পিছনের চামড়া ঝলসে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আমার বোনের চিৎকারে মোবাইলের আলোতে জুলহাস মোল্যা, বিপ্লব মোল্যা সহ অন্যান্য আসামীরা উত্তর দিকে বহিরগ্রাম বাজারমুখী দৌড়ে চলে যায়। এ সময় আমার বোনকে দ্রুত অটোভ্যানে করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

এসিড দগ্ধ তানিয়ার বোন মিনি বেগম অভিযোগ করেন, আসামিদের হুমকি-ধামকিতে নড়াইল সদর হাসপাতালের কর্তৃব্যরত ডাক্তাররা আমার বোনকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। টানা দু’ সপ্তাহ ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে তানিয়া। কিন্তু আসামিরা এ হাসপাতালে এসেও চিকিৎসকদের ভুল বুঝিয়ে এবং আমাদের হুমকি দিয়ে হাসপাতাল ছাড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে।

মিনি বেগম আরও অভিযোগ করেন, আসামী মোঃ বিপ্লব মোল্যা, হৃদয় মোল্যা, অহিদুল মোল্যা, জুয়েল মোল্যাদের সঙ্গে তাদের সাড়ে ১৫ লাখ টাকার একটি মামলা নড়াইল আদালতে চলমান রয়েছে। এই কারণে আসামীরা তার বোনকে এসিডে ঝলসে দিয়েছে। তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com